আমফান পরবর্তী পর্যালোচনা বৈঠকে হুগলী জেলা প্রশাসন : ৮০ শতাংশ বিদ‍্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক বললেন জেলাশাসক

24th May 2020 হুগলী
আমফান পরবর্তী পর্যালোচনা বৈঠকে হুগলী জেলা প্রশাসন : ৮০ শতাংশ বিদ‍্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক বললেন জেলাশাসক


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : এডিএম,চারটি মহকুমার এসডিও,আঠেরোটি ব্লকের বিডিও দের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করলেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও । আমপান তান্ডবের পর আশি শতাংশ এলাকার বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হলো,জানালেন হুগলি জেলা শাসক। চুঁচু্ড়ায় এডিএম,চারটি মহকুমার এসডিও,আঠেরোটি ব্লকের বিডিও দের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন জেলা শাসক ওয়াই রত্নাকর রাও।মোট ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি জেলার ব্লক মিউনিসিপ্যালিটি এলাকা গুলোর বিদ্যুতের কি অবস্থা তা নিয়ে পর্যালোচনা হয়।সুপার সাইক্লোনের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় হুগলি জেলা।পাঁচ হাজারের বেশি গাছ ভেঙে পরে।২০ হাজার বাড়ি ভাঙে।৭৭ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিদ্যুৎ পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে পরে।বিদ্যুৎ না থাকায় বিভিন্ন এলাকায় জলের সংকট দেখা দেয়।বিক্ষোভ অবরোধ চলতে থাকে।দ্রুত বিদ্যুৎ ফিরিয়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় প্রশাসনের কাছে। আধিকারীকদের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়,বুধবার সন্ধার ঝড়ে জেলার ১৯০০০ ট্রান্সফরমারের মধ্যে ৭৭ টি নষ্ট হয়ে যায়।১৮৭০০ টিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।২৪ শে মের মধ্যে ৭০ টি নতুন ট্রান্সফরমার বসানো হয়।১৮৬০০ টিতে বিদ্যুৎ চালু করা গেছে।৪০০ টি বিদ্যুৎ চালু করার কাজ চলছে।আমপানে ৫৫০০ টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পরে।ইতিমধ্যেই ২৫০০ টি নতুন খুঁটি বসানো হয়েছে।১৫১ কিমি হাইটেনশান লাইনের তার ছিঁড়ে যায়।তার মধ্যে ১২০ কিমি তার জোরা হয়েছে।প্রবল ঝড়ে ৪৫০০ কিমি তার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে।যার মধ্যে ৯১ শতাংশে পুনর্গঠন করা গেছে।দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মিরা।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।